বারদৌলি সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝ | বারদৌলি সত্যাগ্রহ কেন হয়েছিল | Class 10 History Suggestion
ভূমিকা:
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলির তালুকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। মূলত, সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে খাজনা বন্ধের আন্দোলন ছিল বারদৌলি সত্যাগ্রহ। গান্ধিজির নির্দেশে এই আন্দোলনের দায়িত্বভার নেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
বারদৌলি সত্যাগ্রহের কারণ
১. প্রেক্ষাপট:
বারদৌলিতে সম্পন্ন কৃষকেরা কুনবি পাতিদার নামে পরিচিত ছিল। এদের অধীনে জমি চাষ করত ঋণদাস নামে এক ধরনের দাস শ্রমিক। এখানকার ৬০ শতাংশ মানুষ ছিল নিম্নবর্ণের কালিপারাজ বা কালো মানুষ। আর উচ্চবর্ণের মানুষেরা উজালিপারাজ বা সাদা মানুষ নামে পরিচিত ছিল। ‘হালি’ প্রথা অনুসারে এখানকার ভাগচাষিরা উচ্চবর্ণের মালিকদের অধীনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
২. খাজনা বৃদ্ধি:
সরকার বারদৌলির কৃষকদের ওপরে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে খাজনার হার ২২ শতাংশ বৃদ্ধি করে। ফলে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়।
৩.দুর্ভিক্ষ:
১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বারদৌলিতে ভয়ানক বন্যা হয় ফলে কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ায় সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে।
নেতৃত্ব দান:
এইরকম পরিস্থিতিতে কুনওয়ারজি মেহতা ও ক্যালজি মেহতা নামে মেহতা ভ্রাতৃদ্বয় প্যাটেলকে আন্দোলন সংঘটিত করার অনুরোধ জানান। গান্ধিজির অনুরোধে প্যাটেল এই আন্দোলনের নেতৃত্ব ভার নিলে এই আন্দোলন শুরু হয়।
উপসংহার:
সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে সংগঠিত বারদৌলি সত্যাগ্রহ কৃষকদেরকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। গান্ধিজির সত্যাগ্রহ নীতি এখানে আর-একবার সফল বলে প্রমাণিত হয়। যখন সরকার আন্দোলনের ফলে খাজনার হার ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশ করে।
তথ্য সূত্র-
মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়িকা (ড. পাহাড়ী)।
Tallent Booster
গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস প্রশ্নের উত্তর নীচে
৫. লেখায় ও রেখায় ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশ- CLICK HERE