নারী ইতিহাস চর্চা সম্পর্কে আলোচনা করো | নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব
ভূমিকা:
উনবিংশ শতাব্দীর সূচনায় উপনিবেশিক বাংলায় নানা সামাজিক প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারী সমাজকে তাদের শিক্ষা ও স্বাতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। ফলে শুরু হয়ে গিয়েছিল, নারী ইতিহাসচর্চার প্রেক্ষিতে রচনার কাজ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় পর্বে সারা পৃথিবী জুড়ে নারী ইতিহাস রচনার কাজ শুরু হয়। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে মূলত এই ধারার ইতিহাসচর্চার সূত্রপাত।
ঐতিহাসিক গ্রন্থ:
নারী ইতিহাস সম্পর্কে প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল গের্ডা লার্নারের 'The Creation od Patriarchy' নামক গ্রন্থ। এছাড়াও অন্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল- নীরা দেশাই রচিত 'Women in Modern India', ঊমা দেবীর ' বাবার কথা ' ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য:
নারী ইতিহাস সম্পর্কে নানা প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা চলছে। এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবীবিদ্যা চর্চা বা স্কুল অফ উইমেন স্টাডিসও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
উপসংহার:
নারী ইতিহাস বা মানবীবিদ্যা চর্চা নারীদের অধিকার রক্ষা সম্পর্কে আমাদের বিশেষভাবে সচেতন করে তোলে। আবার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসচর্চার বিষয়টিও সম্পূর্ন হয় এই ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে।
তথ্য সূত্র:
মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়িকা (ড. পাহাড়ী)
Tallen Booster