সম্পদের বহির্গমন কী | সম্পদের নির্গমন
পলাশির যুদ্ধে জেতার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, সম্পদ জলস্রোতের মতো ইংল্যান্ডে পাঠাতে শুরু করে। এই ঘটনা সম্পদের নির্গমন নামে পরিচিত। কোম্পানি পরিচালনার কাজে ইংল্যান্ডে যে ব্যয় হত তা ভারত থেকে হোমচার্জ বাবদ তুলে নেওয়া হত।
বিভিন্ন রূপ: দুটি ধারায় এই সম্পদের নির্গমন ঘটেছিল—
১. কোম্পানির কর্মচারীদের দ্বারা এবং ২. কোম্পানির বাণিজ্যিক ও আর্থিক রাজস্ব নীতির দ্বারা।
নির্গমনের পদ্ধতি:
১. পলাশির যুদ্ধে জয়ের পর কোম্পানি বাংলার নবাবপদ কেনাবেচার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লোটে ও ইংল্যান্ডে পাচার করে।
২. কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা প্রশাসনিক সুযোগসুবিধার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ রোজগার করে। এ ছাড়াও কোম্পানির নিম্ন ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা উৎকোচ ও উপঢৌকন বাবদ সংগৃহীত অর্থ ইংল্যান্ডে পাঠায়।
৩. কোম্পানির কর্মচারীরা নিজেদের বা অপরের নামে রাস্তা, বাঁধ ও সাঁকো তৈরি করে প্রচুর অর্থ ইংল্যান্ডে পাঠায়।
উপরিউক্ত একাধিক কারণে সম্পদের নির্গমন দ্বারা ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি ভারতের অবনতি হয়েছিল।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।
Tags
শিক্ষামূলক