জাদুবিদ্যা সম্পর্কে একটি টীকা লেখো | History Honours Suggestion | Calcutta University

জাদুবিদ্যা সম্পর্কে একটি টীকা লেখো | History Honours Suggestion | Calcutta University

জাদুবিদ্যা সম্পর্কে একটি টীকা লেখো | History Honours Suggestion | Calcutta University 


জাদু বা ম্যাজিক হল একটি পারফর্মিং আর্ট বা পরিবেশনমূলক শিল্প। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় উপকরণ ব্যবহার করে অসম্ভব বিভ্রম বা আপাতদৃষ্টিতে অতিপ্রাকৃত ঘটনার জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়ার নামই হল জাদু। আর এই জাদুকে অলৌকিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার নাম হচ্ছে জাদুবিদ্যা। সমগ্র বিশ্বে এই জাদুবিদ্যা নিয়ে নানান কৌতুহল প্রচলিত রয়েছে। 



জাদু সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

১. শুল্ক ইন্দ্রজাল বা White Magic- 

ঝাড়ফুক, টোটকা, চিকিৎসা ইত্যাদি এই জাদুবিদ্যার অন্তর্গত।

২. কৃষ্ণ ইন্দ্রজাল বা Black Magic- 

মারণ, উচাটন, বশীকরণ ইত্যাদি এই জাদুবিদ্যার অন্তর্গত।


জাদুবিদ্যা আর জাদুকর এই দুইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ সীমাহীন মানবসভ্যতার শুরু থেকেই। প্রাচীন বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় জাদুবিদ্যার প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। পারস্যের জোরেয়াস্তার ম্যাজিয়ান ধর্মের প্রচলন করেছিলেন যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ভালো ও মন্দের বিচার করা। 

এছাড়া ইহুদি জাদুকরেরা বাশপস্নানের  মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করত। সমকালীন সময়ে জাদুবিদ্যা সংক্রান্ত বিখ্যাত বইয়েরও সন্ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে " কিং অফ সলোমান" নামক জাদুবিদ্যা সংক্রান্ত বই অন্যতম।


জাদুবিদ্যা প্রয়োগের উপায় বা উপকরণ নানা ধরনের হয়ে থাকে। বিশেষ প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ ও জড়বস্তু জাদুর কাজে ব্যবহার করা হয়। মানুষের চুল, নখ, গায়ের ময়লা, জীবজন্তুর হাড়, চামড়া, দাঁত, নখ, পাখির পালক, সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি জাদুবিদ্যার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর যারা এই জাদুবিদ্যা চর্চা করতেন তাদের ডাকিনী, যোগিনী, ওঝা, গুণীন প্রভৃতি নামে ডাকা হতো।



জাদুকরের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে সাধারণ মানুষের মনকে প্রভাবিত করা। তবে প্রাচীনকালে যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন তারা অতীন্দ্র শক্তির বলে ক্রেতা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন বলে মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল। এই কারণে ওই সময় ওঝারা একাধারে চিকিৎসক, জাদুকর এবং পুরোহিতের ভূমিকাও পালন করতেন। 


অনেকে অনেকে সেই সময় অশিক্ষিত মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে বা তাদের অনুসারী বানানোর জন্যও জাদুবিদ্যার প্রয়োগ করতেন। খাতায় কলমে আমরা হয়তো জানি প্রাচীনকালে জাদুবিদ্যার প্রচলন হয়েছিল, তবে বর্তমান সময়ে আজকের আধুনিক সভ্যতায় দাড়িয়েও জাদুবিদ্যা সম্পর্কে জানার আগ্রহ যথেষ্ট রয়েছে- একথা আমাদের প্রায় সকলেরই জানা।



তথ্য সূত্র:

১. বিশ্ব সভ্যতার মধ্যযুগ- আসিফ জামাল লস্কর।


২. বিশ্ব সভ্যতায় রোম-আরব (প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুগ)- দ্বিতীয় পত্র।

_ আজিজুল বিশ্বাস, মো: সরোয়ার জাহান, নারায়ণ নন্দী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×