স্বরাজ্য দলের বিরোধিতায় ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয়ে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের পুনর্বিবেচনা করে। ব্রিটিশ সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে আইনজীবী জন সাইমনের নেতৃত্বে গঠিত হয় সাত সদস্যবিশিষ্ট সাইমন কমিশন।
সাইমন কমিশন গঠনের কারণ:
১. মন্টেগু-চেমফোর্ড শাসনসংস্কারের ধারাগুলি কতটা কার্যকারী হল তা অনুসন্ধানের জন্য দশ বছর পরে এক কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে গঠিত হয় সাইমন কমিশন (১৯২৭-২৮ খ্রি.)।
২. মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসনসংস্কার আইনের দ্বারা ভারতীয়দের ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের অবসান ঘটানো যায়নি। তাই সাইমন কমিশন গঠিত হয়।
৩. স্বরাজ্য দল ও মুসলিম লিগের দাবি মানার জন্য ব্রিটিশ এই কমিশন গঠন করে।
কমিশন-বিরোধী আন্দোলন:
সাইমন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর সারা ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ভারতের সংবিধান রচনার দায়িত্ব ভারতীয়দের পাওয়া উচিত বলে সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লিগ, হিন্দু মহাসভাসহ সমস্ত দল প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। বোম্বাই শহরে জন সাইমন এলে তাঁর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ ‘সাইমন ফিরে যাও’ ধ্বনি দেয়। সাইমন কমিশন-বিরোধী আন্দোলন জাতির জীবনে এক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।