ভূমিকা:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মতো পাঞ্জাবও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পাঞ্জাবের দুই শীর্ষ নেতা সত্যপাল ও সইফুদ্দিন কিচলুকে রাওলাট আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই গান্ধিজিকে ব্রিটিশ সরকার গ্রেপ্তার করে। এরকম অবস্থায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক শোভাযাত্রা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হত্যাকাণ্ড:
পাঞ্জাবের শাসনকর্তা মাইকেল ও ডায়ার সভাসমিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দশ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র মানুষ অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্যানে এক সভায় সমবেত হয়। এই সভাতে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে ব্রিটিশ সেনারা অতর্কিতে গুলি চালায়। এতে প্রচুর নিরীহ মানুষ হতাহত হয়।
প্রতিক্রিয়া:
জালিয়ানওয়ালাবাগের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে (১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে, ১৩ এপ্রিল) সারাদেশ স্তম্ভিত হয়ে যায়। শুধু ভারতীয়রাই নয়, ব্রিটিশদের মধ্যে অনেকেই এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল বলেন, এরকম ঘটনা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে আর কখনও ঘটেছে বলে মনে হয় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁর রাজসম্মান্ ‘নাইটহুড’ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। গান্ধিজি বলেন—এই শয়তান সরকারের সংশোধন অসম্ভব, একে ধ্বংস করতেই হবে।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।