লখনউ চুক্তির শর্ত ও গুরুত্ব
বালগঙ্গাধর তিলক ও অ্যানি বেশান্তের নেতৃত্বে হোমরুল আন্দোলন পরিচালনার পর নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মিলন ঘটে। অপরদিকে জিন্না তুরস্কের খলিফার প্রতি ব্রিটিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আপসের উদ্যোগ নেন। ফলে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ একত্রিত হয়ে লখনউ চুক্তি (১৯১৬ খ্রি.)-তে স্বাক্ষর করে।
লখনউ চুক্তির শর্ত:
১. কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ একসঙ্গে ব্রিটিশ শাসকের কাছে শাসনসংস্কারের দাবি জানাবে।
২. মুসলিম লিগ কংগ্রেসের স্বরাজের আদর্শ মেনে নেবে, অপরদিকে কংগ্রেসও মুসলিম লিগের আলাদা নির্বাচনের দাবি মেনে নেবে।
৩. কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের মোট সদস্যের তিনভাগের একভাগ হবে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত।
লখনউ চুক্তির গুরুত্ব:
১. লখনউ চুক্তি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে।
২. এই চুক্তিতে কংগ্রেস ও লিগের আলাদা নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রমাণ হয় যে হিন্দু-মুসলিম দুটি আলাদা জাতি।
৩. ধর্মীয় বিভেদ ভুলে জাতীয় প্রয়োজনে দুই সম্প্রদায় যে এক হতে পারে লখনউ চুক্তি ছিল তার বড়ো প্রমাণ।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।