১৯১৯ খ্রি: রাওলাট আইন | Rowlatt Act 1919


 

১৯১৯ খ্রি: রাওলাট আইন | Rowlatt Act 1919

ভূমিকা:

ভারতের বৈপ্লবিক আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ বিচারপতি রাওলাটের সভাপতিত্বে গঠিত হয় সিডিশন কমিটি। এই কমিটির সুপারিশগুলি রাওলাট আইন (১৯১৯ খ্রি.) নামে পরিচিত।


পটভূমি:

মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসনসংস্কারের দ্বারা ভারতবাসীকে সন্তুষ্ট করা যায়নি। ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনকে স্তব্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত ভারত প্রতিরক্ষা আইনের মেয়াদও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শেষ হয়ে আসে। তাই ভারতের বিপ্লবী আন্দোলন দমনের জন্য নতুন এক আইন প্রবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করে ব্রিটিশ সরকার।


উল্লেখযোগ্য ধারা:

রাওলাট আইনের বিভিন্ন ধারার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছিল— 


১. ব্রিটিশবিরোধী কাজে লিপ্ত এরকম সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কোনো আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, গ্রেপ্তার বা আটক করা যাবে।


২. কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির ঘরবাড়ি পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাসি চালানো যাবে।  


৩. কয়েকটি ধারায় ভারতীয় সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের ব্যবস্থা করা হয়।


৪. ভারতীয় বন্দিদের ক্ষেত্রে কোনো সাক্ষ্য বা প্রমাণ ছাড়াই বিচারকরা যে রায় দেবেন সেই রায়ের ওপর উচ্চ আদালতে কোনো আপিল করা যাবে না।


প্রতিক্রিয়া: 

কেন্দ্রীয় আইনসভার ভারতীয় সদস্যরা এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। জিন্নাসহ চারজন সদস্য প্রতিবাদ জানিয়ে আইনসভা থেকে পদত্যাগ করেন। গান্ধিজি বড়োলাট চেমসফোর্ডকে এই ঘৃণ্য কালা আইন কার্যকর না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে গান্ধিজি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দেন।


তথ্য সূত্র:

ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال

×