সতনামি বিদ্রোহ সম্পর্কে একটি টীকা | টীকা: সতনামি বিদ্রোহ
পাঞ্জাবের অন্তর্গত নারনুল ও মেওয়াট অঞ্চলে সৎনামী সম্প্রদায়ের মানুষ মুঘল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয় (১৬৭২ খ্রি:)। সৎপথে জীবনযাপন করার আদর্শে বিশ্বাসী ছিল বলে এই ভক্তিবাদীরা ' সৎনামী' নামে পরিচিত হয়।
মথুরার কাছে নারনুলে ‘সত্নামী’ নামে একটি ভক্ত-সম্প্রদায় বসবাস করত। ১৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে এই ধর্মীয় সম্প্রদায়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষিকার্য ও ছোটখাট ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা জীবন ধারণ করত। তারা বিভিন্ন বর্ণ বা হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোন ভেদাভেদ করত না। ক্ষেতে কর্মরত জনৈক সত্নামী চাষীর সংগে মোগল রাজকর্মচারীর বিবাদ ও কর্মচারীটির প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে সৎনামী বিদ্রোহের সূচনা হয় (১৬৭২ খ্রিঃ)। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন গরীবদাস হাড়া নামে জনৈক ব্যক্তি। তাঁর নেতৃত্বে অচিরেই এই বিদ্রোহ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। বিদ্রোহ চলাকালে তারা কর আদায় করত এবং নিজেদের পৃথক থানা প্রতিষ্ঠিত করে। শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, স্থানীয় বহু হিন্দু রাজপুত জমিদার মোগলদের পক্ষে অস্ত্রধারণ করেছিল।