টীকা- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)।
ভূমিকা:
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে (১৭৬১ খ্রি.) আফগান বাদশাহ আহম্মদ শাহ আবদালির কাছে মারাঠাদের পরাজয় ঘটলে সাময়িকভাবে মারাঠাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। বালাজি বাজিরাও মারা যান। এই যুদ্ধের পরই বাংলায় ব্রিটিশ আধিপত্যের পথ প্রস্তুত হয়।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট:
আহম্মদ শাহ আবদালি পাঞ্জাব অধিকার করে দিল্লির দিকে অগ্রসর হলে সদাশিবরাও ও বিশ্বাসরাও-এর নেতৃত্বে মারাঠা বাহিনী আবদালিকে বাধা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি পানিপথের প্রান্তরে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। এই যুদ্ধ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ নামে খ্যাত।
যুদ্ধের ফলাফল:
১. পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। বিশ্বাসরাও, সদাশিবরাওসহ চব্বিশজন মারাঠা সেনাপতি এবং ২০ হাজার মারাঠা সৈন্য যুদ্ধে নিহত হয়। ২. যুদ্ধে পরাজয়ের সংবাদে শোকাহত হয়ে পেশোয়া বালাজি বাজিরাও মারা যান।
৩. এই যুদ্ধের পরই বাংলায় ব্রিটিশ আধিপত্যের পথ প্রস্তুত হয়।
গুরুত্ব:
(i) যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পেশোয়ার মর্যাদা হ্রাস পায় এবং মারাঠা সামরিক শক্তির দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
(ii)এই যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হওয়ায় ইংরেজরা বাংলায় ও দাক্ষিণাত্যে নিজেদের আধিপত্য গড়ে তোলার সুযোগ পায় । পরবর্তী সময়ে মারাঠারা নিজেদের পুনরায় শক্তিশালী করে তুললেও ইংরেজদের দমন করতে পারেনি। (iii) হায়দার আলি মহীশূরে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন এবং পাঞ্জাবে শতদ্রু নদীর তীরে শিখদের উত্থান ঘটে।
(iv) পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পর মোগল ও মারাঠা শক্তির দুর্বলতার সুযোগে ব্রিটিশরা ভারতে নিজেদের আধিপত্যের সূচনা ঘটায়।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।
আরো জানুন https://www.itihaspathshala.in/2022/11/blog-post_67.html
উত্তরমুছুন