প্রেক্ষাপট:
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে (১৭৬১ খ্রি.) আহম্মদ শাহ আবদালির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর মারাঠা শক্তি সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশোয়া মাধব রাওয়ের নেতৃত্বে মারাঠারা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মাধব রাওয়ের অকালমৃত্যুর পর তাঁর নাবালক ভাই নারায়ণ রাও পেশোয়া পদ লাভ করেন। কিন্তু পিতৃব্য রঘুনাথ রাও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নারায়ণ রাওকে হত্যা করে পেশোয়া পদ অধিকার করে নেন।
প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের কারণ:
নানা ফড়নবীশের নেতৃত্বে মারাঠারা রঘুনাথ রাওকে পেশোয়া পদ থেকে সরিয়ে দেয়, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রঘুনাথ রাও ইংরেজদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। মারাঠাদের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে ইংরেজ। তারা রঘুনাথ রাওয়ের সঙ্গে সুরাটের সন্ধিতে (১৭৭৫ খ্রি.) আবদ্ধ হয়। স্থির হয় রঘুনাথ রাও পেশোয়া পদ পাবেন। বিনিময়ে রঘুনাথ রাও সলসেট ও বেসিন অঞ্চল দুটি ছেড়ে দেবেন। রঘুনাথ রাওকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী পুনার দিকে অগ্রসর হলে নানা ফড়নবীশের নেতৃত্বে মারাঠারা অবরোধ গড়ে তোলে। ফলে প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের (১৭৭৫ খ্রি.) সূচনা ঘটে।
প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের ফলাফল:
প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনী পরাজিত হয়। হেরে যাওয়ার পর ইংরেজরা রঘুনাথ রাওয়ের সঙ্গ ত্যাগ করে। মারাঠা নায়ক মহাদজি সিন্ধিয়ার মধ্যস্থতায় মারাঠাদের সঙ্গে ইংরেজরা সলবইয়ের সন্ধি (১৭৮২ খ্রি.) স্বাক্ষর করে। মাধব রাও নারায়ণকে তারা পেশোয়া বলে মেনে নেয়।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।