পানিপথের প্রথম যুদ্ধের তাৎপর্য | পানিপথের প্রথম যুদ্ধের ফলাফল | পানিপথের প্রথম যুদ্ধের গুরুত্ব
ভূমিকা:
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (১৫২৬ খ্রি., ২১ এপ্রিল) ছিল ভারতে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। পরবর্তীকালে ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই যুদ্ধের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
যুদ্ধের তাৎপর্য:
১ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ভারত ইতিহাসের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে লোদী বংশের শাসন ক্ষমতা চিরতরে অবলুপ্ত হয়, দিল্লী ও আগ্রা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল বাবরের অধিকারে আসে এবং জৌনপুর পর্যন্ত সমৃদ্ধশালী গঙ্গা-যমুনা উপত্যকার দরজা তাঁর কাছে উন্মুক্ত হয়।
২. আগ্রায় সঞ্চিত ইব্রাহিম লোদীর ধনদৌলত বাবরের হস্তগত হওয়ায় তাঁর আর্থিক সংকট কিছুটা দূর হয়। একথা মনে করার কোন কারণ নেই যে, এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বাবরের হাতে চলে গিয়েছিল। এজন্য তাঁকে মেবারের রাজপুত বীর রাণা সঙ্গ বা সংগ্রাম সিংহ এবং পূর্ব ভারতের আফগানদের বিরুদ্ধে আরও দু’টি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়।
৩. ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র-এর মতে, রাজনৈতিক দিক দিয়ে পানিপথের যুদ্ধকে কখনই চূড়ান্ত বলা যায় না—বরং বলা যায় যে, এই যুদ্ধ উত্তর ভারতে রাজনৈতিক আধিপত্য লাভের সংগ্রামে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। রাশব্রুক উইলিয়মস, ডঃ কালীকিংকর দত্ত প্রমুখ ঐতিহাসিকদের মতে—পানিপথের যুদ্ধ ছিল ভারতে মোগল সাম্রাজ্য স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপ বা প্রথম সোপান মাত্র।
তথ্য সূত্র:
স্বদেশ পরিচয় | জীবন মুখোপাধ্যায়।