পুঁজিবাদের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো | পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য | Characteristics of Capitalism
ভূমিকা:
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে ভৌগোলিক আবিষ্কারের সুবিধা বণিকগোষ্ঠী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্য শুরু করে। তারা বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়ে ওঠে। এই সম্পদকে তারা প্রথমে বাণিজ্য এবং পরে শিল্পোৎপাদনে বিনিয়োগ করায় উদ্ভব ঘটে ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার।
পুঁজিবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. শিল্পের উন্নয়ন:
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বেশি পরিমাণ মূলধন শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় সার্বিকরূপে শিল্পের উন্নতি ঘটে। শিল্পক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আসে, বিভিন্ন ধরনের শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন শুরু হয়।
২. ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্থনৈতিক উন্নতি:
পুঁজিবাদে ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রাধান্য পায়, বিভিন্ন দেশের ভূস্বামীরা তাদের উদ্বৃত্ত পুঁজি শিল্পে বিনিয়োগ করে। ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক কাঠামোর রূপান্তর ঘটে।
৩. রাষ্ট্রীয় আয়বৃদ্ধি:
শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে রাষ্ট্র আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শুল্ক আদায়ের চেষ্টা করে। এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি মজবুত হতে থাকে।
৪. স্বাধীনভাবে শিল্প পরিচালনা:
কোম্পানি আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্র একচেটিয়াভাবে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি স্বাধীনভাবে শিল্প পরিচালনার সুযোগ পায়।
৫. পণ্যদ্রব্যের উন্নত গুণমান:
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর গুণমান উন্নত রাখার চেষ্টা করে।
তথ্য সূত্র:
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস শিক্ষক | জে. মুখোপাধ্যায়।