খেলাধুলার ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব | Madhyamik History Suggestion
ভূমিকা:
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল খেলাধুলা ও শরীরচর্চা। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে মনেরও বিকাশ ঘটে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের সর্বাঙ্গীন বিকাশে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম।
১. সার্থক গুণাবলীর প্রকাশ:
ভারতের সর্বত্র বিভিন্নরকমের খেলা প্রচলিত আছে। এই খেলাগুলির মাধ্যমে মানুষদের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বিপদ থেকে রক্ষা করা প্রভৃতি গুণাবলির সার্থক প্রকাশ ঘটে।
২. খেলাধুলা ও বিপ্লবী আন্দোলন:
জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসেও খেলার বিশেষ অবদান আছে। আমরা যদি বিপ্লবী আন্দোলনের কথা ভাবি, তাহলে দেখতে পাব বাংলা তথা ভারতের অসংখ্য বিপ্লবী লাঠিখেলা, শরীরচর্চা, কুস্তি প্রভৃতি খেলা নিয়মিতভাবে চর্চা করত। তৎকালীন গুপ্তবিপ্লবী সমিতিগুলিতে আবশ্যিকভাবে এইসকল খেলাধুলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।
৩. জাতীয়তাবাদ বিকাশ:
খেলার ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের আইএফএ শিল্ড ফুটবল খেলা এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এগারো জন বাঙালি নিয়ে গঠিত মোহনবাগান দল। এই দলের খেলোয়াড়রা আবার খেলেছিল খালি পায়ে, যেখানে বিপক্ষ দলের ফুটবলাররা বুট পায়ে দিয়ে খেলেছিল। এই ঘটনা বাংলা তথা ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ন প্রভাব ফেলেছিল।
উপসংহার:
খেলাধুলার প্রয়োজন নানা দিকে। রিচার্ড হোল্টের ‘স্পোর্টস অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ : এ মডার্ন হিস্ট্রি', রামচন্দ্র গুহের ‘দ্য পিকাডোর বুক অফ ক্রিকেট’ ইত্যাদি গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে খেলা ও জাতীয়তাবাদের এক বিরাট পরিধি।
তথ্য সূত্র:
১. ইতিহাস ও পরিবেশ (Password)
_ কে এম সরিফুজ্জামান।
২. উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সহায়িকা (দাস | পাহাড়ী) _ talent Booster