শিল্পস্থাপনে পরিবহনের গুরুত্ব | পরিবহনের গুরুত্ব | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন
যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের পন্থাকে পরিবহণ বলে। অর্থাৎ, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো হয়, তাকেই পরিবহণ বলে।
পরিবহণের গুরুত্ব ( Importance of Transport ) : যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক বিশ্বে পরিবহণের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল-
১. অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য :
দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্যদ্রব্যের আমদানি, রপ্তাণী তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহণ ব্যবস্থা অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
২. কৃষির উন্নতি :
কৃষি পণ্যের আদান প্রদান, কৃষিজ কাঁচামাল কারখানায় পৌঁছোনো, কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি এবং কৃষিহীন অঞ্চলে কৃষির প্রসারে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
৩. শিল্প স্থাপন ও সম্প্রসারণ :
কোনো স্থানে শিল্প স্থাপনের জন্য কাঁচামালের আনয়ন এবং শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
৪. প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও বন্টন :
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও তার সুষ্ঠু বন্টনের জন্য পরিবহন ব্যবস্থার প্রয়োজন।
৫. চাহিদা ও যোগানের কাজে :
দেশের নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তথা যে কোন দ্রব্য সামগ্রীর চাহিদার সঠিকভাবে যোগান মেটানোর জন্য পরিবহন ব্যবস্থায় সাহায্য করে।
৬. বাণিজ্য প্রসার :
দেশের বা বিদেশের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত দ্রব্য বা ঘাটতি দ্রব্য আমদানির ও রপ্তানির মাধ্যমে আদান প্রদান করা হয় ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়। এইভাবে বাণিজ্য প্রচার করতে পরিবহন ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি :
উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে একচেটিয়া কারবারের অবসান ঘটে ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে।
তথ্য সূত্র: মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ সহায়িকা (সম্পাদনায়- শ্রীদেবাশীষ মৌলিক)