ইরাসমাস সম্পর্কে একটি টীকা | ইরাসমাস টীকা


ইরাসমাস কে ছিলেন | ইরাসমাস এর অবদান | ইউরোপীয় নবজাগরণে ইরাসমাস এর অবদান


পরিচিতি :

খ্রিস্টান সাহিত্য ও দর্শনে সুপণ্ডিত ডেসিডেরিয়াস ইরাসমাস (ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী। তাঁকে ‘মানবতাবাদীদের রাজপুত্র’ বলা হয়। হল্যান্ড (ডাচ্)-এর রটারডামে ইরাসমাস জন্মগ্রহণ করেন। সমগ্র ইউরোপজুড়ে তিনি নিজের ধর্মীয় মতাদর্শের প্রচার চালান।


সাহিত্যে অবদান : 

ইরাসমাস রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থটির নাম 'ইন প্রেইজ অব্ ফলি’ (ত্রুটিবিচ্যুতির প্রশংসা)। এই গ্রন্থটিতে তিনি সমকালীন ইউরোপীয় সমাজ ও ধর্মব্যবস্থার অশুভ দিকগুলির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি লাতিন ভাষায় 'নিউ টেস্টামেন্ট’ গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। তাঁর বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক রচনাগুলি ছিল মধ্যযুগীয় সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক তীব্র জেহাদ।


দর্শনে অবদান : 

ইরাসমাস সব কিছুকেই যুক্তির আলোকে বিচার করার কথা বলেন। তিনি মধ্যযুগীয় সংকীর্ণতায় আবদ্ধ স্কলাস্টিক দর্শনকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। যুক্তিবাদী দর্শনের আলোয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করার জন্য তিনি কলম ধরেছিলেন। তিনি সত্য ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে বাধাগুলিকে দূর করতে চেয়েছিলেন।


ধর্মীয় সংস্কারে অবদান : 

ইরাসমাস মঠ-জীবনকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক বলেই মনে করতেন। তিনি তাঁর লেখনির দ্বারা মধ্যযুগের ধর্মীয় কুসংস্কার ও ধ্যানধারণার বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করে তোলেন। খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের দুর্নীতি ও কুসংস্কারগুলি তিনি জনসমক্ষে তুলে ধরেন এবং তার বিরোধিতা করার ডাক দেন। বাইবেল পাঠের ক্ষেত্রে তিনি এক নতুন ব্যাখ্যামূলক পদ্ধতির উদ্ভব ঘটান। খ্রিস্টীয় তত্ত্বের মূলগত দিকটি তিনি জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।


তথ্য সূত্র- ইতিহাস শিক্ষক (জে মুখোপাধ্যায়)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×