Spinach: পুষ্টিগুনে ভরপুর শাক পালং! নিয়মিত খেলে চিরতরে দূর হবে এইসকল রোগ।
ডাক্তার থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদরা সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ করেন। আমাদের খাদ্যতালিকায় মাছ কিংবা মাংস যেমন জরুরি তেমনি শাকসবজির উপস্থিতিও জরুরি। আর শাকসবজির কথা যখন আসে তখন পালং শাকের কথা উল্লেখ করতেই হয়। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এছাড়া ভিটামিন-A, C, K, আয়রন, প্রোটিনও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাহলে আসুন আজকে আমরা জানবো পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে।
পালং শাকের উপকারিতা(Benefits of spinach):
১. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ-
আমাদের দেহে LDL নামক একপ্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে। যার প্রভাবে শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। পালং শাক দেহের সেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
২. হজমশক্তি বৃদ্ধি-
পালং শাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরের মেটাবোলিজম রেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এর ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে-
পালং শাক খুব সহজেই হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফলে পেটে জমে থাকা মল অনায়াসে বের হয়ে যায়। ফলস্বরূপ কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়।
৪. রক্তাল্পতা দূরীকরণ-
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন-C রয়েছে। আয়রন দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন শ্বেতকণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তাল্পতা দূর হয়।
৫. কিডনির সমস্যা-
অনেক গবেষকদের মতে, নিয়মিত পালং শাক খেলে তার মধ্যে উপস্থিত পুষ্টিগুণের জন্য কিডনিতে পাথর থাকলে সেগুলি গুড়ো হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ-
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাভোনয়েডস রয়েছে। আর এই ফাভোনয়েডস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি-
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যারোটিন থাকে। এই উপাদানগুলি চোখের মধ্যে থাকা রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৮. হৃদরোগ-
পালং শাকে লুটেইন নামক একটি পদার্থ থাকে। যেটি মানুষের দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের মতো সমস্যা দূর হয়।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা-
পালং শাকে উপস্থিত পুষ্টিগুণের জন্য আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১০. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি-
পালং শাকে উপস্থিত পটাশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় মানুষের মনযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
১১. লবণের ভারসাম্য:
পালং শাকে থাকা পটাশিয়াম খনিজ দেহের সোডিয়াম বা লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তাহলে আশা করছি আপনারা বুঝতেই পারছেন যে পালং শাকের অনেক শারীরিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পালং শাক রাখুন।