টীকা: ভাইমার প্রজাতন্ত্র | ভাইমার প্রজাতন্ত্র বলতে কী বোঝ


টীকা: ভাইমার প্রজাতন্ত্র | ভাইমার প্রজাতন্ত্র বলতে কী বোঝ


প্রেক্ষাপট: 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে যুদ্ধের দায়ভার নিয়ে কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম সপরিবারে জার্মানি ছেড়ে হল্যান্ডে চলে যান। ফলে জার্মানিতে হোয়েনজোলার্ন রাজবংশের দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটে। জার্মানির সমাজবাদী নেতা ফ্রেডারিক ইবাৎ-এর নেতৃত্বে সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল জার্মানিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।


প্রজাতন্ত্র গঠন: 

জার্মানিতে এক গণভোটের মাধ্যমে গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (১৯১৯ খ্রি.)। ভাইমার নামক স্থানে জার্মান প্রতিনিধিবর্গ মিলিত হয়ে প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জাতীয় পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদ এক প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ভাইমার প্রজাতন্ত্র।


কৃতিত্ব:

১. স্পার্টাসিস্ট নামে জার্মানির কমিউনিস্ট দলসহ অন্যান্য প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলির বিরোধিতা সত্ত্বেও ভাইমার প্রজাতন্ত্র বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য গৃহীত ডাওয়েজ পরিকল্পনা (১৯২৪ খ্রি.)।


২. জার্মানিকে রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করার জন্য সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির র‍্যাপেলোর সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ইতালির সঙ্গে জার্মানি স্বাক্ষর করে লোকার্নো চুক্তি।


৩. স্থায়ী সদস্য হিসেবে জার্মানি লিগ অব নেশনস্-এ যোগ দেয়।


ব্যর্থতা:

যুদ্ধজনিত আর্থিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় ভাইমার প্রজাতন্ত্র ব্যর্থ হয়। জার্মানির বিদেশ নীতি ব্যর্থ হওয়ায় জার্মানরা ভাইমার প্রজাতন্ত্রের ওপর আস্থা হারায়। ক্ষুব্ধ ও হতাশ জার্মানরা প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হলে ভাইমার প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটে। শেষপর্যন্ত হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা লাভ করে।

 

তথ্য সূত্র:

ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×