জিকা ভাইরাস কি? কিভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস বিস্তারিত জেনে নিন

 জিকা ভাইরাস কি? কিভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস বিস্তারিত জেনে নিন

বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এরই মাঝে নতুন একধরনের ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। যার ফলে মানুষ আবারও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসের নাম জিকা (zika)। ভারতের কানপুরে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই আজকের আলোচনায় আমরা জানবো জিকা ভাইরাস কি? এই ভাইরাসের লক্ষণ কি? কিভাবে এর থেকে দূরে থাকবেন।

জিকা ভাইরাস কি?
জিকা একটি মশাবাহিত রোগ। অর্থাৎ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতোই। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ হয়। জানা যাচ্ছে জিকা ভাইরাসও বহন করে থাকে এই এডিস মশাই।

জিকা ভাইরাসের ইতিহাস-
আফ্রিকাতে সর্বপ্রথম ১৯৪৭ সালে জিকা ভাইরাসের স্ট্রেইন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাস সর্বপ্রথম সকলের নজরে আসে ২০১৫ সালে। তখন ব্রাজিলে পাওয়া যায় এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। এরপর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্ব সহ ভারতবর্ষেও ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জিকা ভাইরাসকে 'পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সী' হিসেবে চিহ্নিত করে।

জিকা ভাইরাসের লক্ষণ-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ জ্বর এবং জিকা ভাইরাসের জ্বর বুঝতেই পারেন না। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কোনো ব্যাক্তি টানা ৬-৭ দিন জ্বরে ভুগেন এবং নাক থেকে জল পড়ে কিংবা মাথা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া এই সকল লক্ষণের সাথে সাথে অনেকের কনজাংটিভাইটিস এবং হাড় ও গাঁটে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

রোগের তীব্রতা-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যদিও ভয়াবহ কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। তবুও সময়মতো চিকিৎসা না হলে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পেটের শিশুর বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে।বিশেষ করে মস্তিষ্কের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। 

ব্রাজিলে গত বছর হঠাৎ কয়েক হাজার শিশুর স্বাভাবিকের তুলনায় ছোটো মাথা নিয়ে জন্মায়। তাই অনেকে মনে করছেন জিকা ভাইরাসের প্রভাবে এমনটা হয়েছে। তবে জিকা ভাইরাসের জন্যই যে এটা হয়েছে সেক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

জিকা ভাইরাসের প্রতিকার-
জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম এবং পানীয় জল পানের জন্য বলা হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে বলা হচ্ছে। এছাড়া এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মশারী টাঙিয়ে ঘুমাতে বলা হচ্ছে। যাতে কোনো  ক্ষতিকর মশার থেকে আক্রান্ত ব্যাক্তি দূরে থাকতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×