কারি পাতার উপকারিতা

কারি পাতার উপকারিতা

কারি পাতার উপকারিতা | Benefits of Curry leaves

কারি পাতার মধ্যে নানা রকমের ভিটামিন রয়েছে। সেগুলি হল ভিটামিন সি, ফসফরাস, আয়রন  ক্যালসিয়াম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ইত্যাদি। চুল পড়া বন্ধ করতে এই পাতা খুবই উপকারী। এছাড়া কারিপাতা শরীরে হজমে সাহায্য করে এনজাইমের ক্ষয় করতে সাহায্য করে। অনেক ধরনের রান্না এই পাতা মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র রান্না স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করলেও এর নানা উপকারিতা আছে।

১. চুল পড়া কমানোর ক্ষেত্রে এই পাতার উপকারিতা-

 কারি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, অ্যামিনো এসিড যা চুল বাড়াতে সহায়তা করে। এই পাতাটি রোদে শুকিয়ে তাতে একটি ডিম দিয়ে চুলে ব্যাবহার করলে চুল পড়া অনেকটা বন্ধ হয়। আবার প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করার কিছুক্ষণ পর কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে অনেকটা চুল পড়া রোধ হয়।

২. মানব শরীরে কারিপাতার উপকারিতা-

 প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মাত্র ৮-৯ টি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে। আর খাবার হজম হলে কোষ্ঠকাঠিন্য সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে শরীরে অনেক রোগ ক্ষমতা হ্রাস পায়। কারিপাতা এনজাইমকে উৎপাদিত করে যা হজমে সাহায্য করে। এই পাতা বমি বমি ভাব কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। এছাড়া‌ কাঁচা পাতা চিবলে শরীরের ওজন কমে। এবং শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি অনেক সবল হয় ।

৩. ত্বকের যত্নে কারি পাতা-

ত্বকের যত্নে কারিপাতা খুব উপযোগী। এতে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পাতাটি অনেক পরিমাণে আয়রন আছে। কারি পাতা দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায়। যা ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে। এর পাশাপাশি অ্যাকনে থেকে মুক্তি দেয়। এর মধ্যে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে। যা নানা ধরনের স্কিন ইনফেকশন খুব সহজেই কমিয়ে দেয়। 

৪. নিয়মিত খাওয়ার ফল-                  

শরীরকে সুস্থ রাখতে কারিপাতা নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ এটি দেহের ভিতর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি নিমেষে দূর করতে পারে। সকাল ও বিকাল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক উপাদান টি ডায়রিয়া কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন খাবারের দিয়ে খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা অনেকটা বাড়তে শুরু করে। এর ফলে রক্তে শর্করা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। কারি পাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর জন্য খারাপ কোলেস্টরলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এবং হার্ট এর ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক মাত্রা কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ভালো কোলেস্টরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে হার্ট সুস্থ সবল থাকে এবং হাটের কর্মক্ষমতার উন্নতি হয়।

                                                                                                                                                      


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×