ভিয়েনা সম্মেলন সম্পর্কে আলোচনা করো | Vienna Conference

 


ভিয়েনা সম্মেলন | ভিয়েনা কনভেনশন | ভিয়েনা সম্মলনে গৃহীত নীতি | ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য


ভূমিকা: 

নেপোলিয়ানের পতনের পর বিজয়ী রাষ্ট্রনেতারা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় (১৮১৫ খ্রি.) এক সম্মেলনের আহ্বান করেন। এই সম্মেলনই ‘ভিয়েনা সম্মেলন’ বা ‘ভিয়েনা কংগ্রেস’ (১৮১৫ খ্রি.) নামে পরিচিত।


ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য: 

নেপোলিয়ন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অভিযান চালিয়ে যেসব সমস্যার সৃষ্টি করেন সেগুলির সমাধান করাই ছিল ভিয়েনা সম্মেলনের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই সম্মেলনে ইউরোপের পুনর্গঠন ও পুনর্বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। প্রকৃতপক্ষে ভিয়েনা সম্মেলনে পুরাতনতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়।


ভিয়েনা সম্মলনে গৃহীত নীতি: 

ভিয়েনা সম্মেলনে তিনটি নীতি স্থির হয়। এগুলি হল- ১. ন্যায্য অধিকার নীতি, ২. ক্ষতিপূরণ নীতি ৩. শক্তিসাম্য নীতি।


সাফল্য: 

ভিয়েনা কংগ্রেস ইউরোপে এক নতুন যুগের সূচনা করে। এর সাফল্যগুলি হল—

১. ভিয়েনা কংগ্রেসের মাধ্যমেই ইউরোপে প্রায় চল্লিশ বছর শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়।  


২. ভিয়েনা সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলি ছিল অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। এই সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ ও জাতিপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আভাস দেয়।


ব্যর্থতা: 

ভিয়েনা সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের কথায় ও কাজে মিল ছিল না। এর ব্যর্থতার কারণগুলি হল— 

১. বিপ্লবের পূর্বেকার পুরাতন রাজবংশগুলিকে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস আসলে ছিল যুগবিরোধী।  


২. ভিয়েনা সম্মেলনে উপস্থিত দেশগুলি নেপোলিয়নকে হারানোর পুরস্কাররূপে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করতে চেয়েছিল। 


তথ্য সূত্র:

ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال

×