ক্রিপস মিশন কেন ভারতে আসে | Why does the Crips Mission come to India
প্রেক্ষাপট:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপান প্রাথমিকভাবে সাফল্য লাভ করলে ব্রিটিশ সরকার ভারতবাসীর সহযোগিতা লাভের জন্য ব্যগ্র হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে ভারতীয়দের সঙ্গে বোঝাপড়া করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের আগ্রহে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ভারতে ক্রিপস মিশন (১৯৪২ খ্রি.) পাঠায়৷
ক্রিপস মিশনের সদস্য:
ইংল্যান্ডের আইনবিদ ও ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য স্টাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে ক্রিপস মিশন গঠিত হয়। এই মিশনের অন্য দুই সদস্য ছিলেন পেথিক লরেন্স ও এ. ভি. আলেকজান্ডার।
-প্রধান প্রধান প্রস্তাব:
ক্রিপস মিশনের দেওয়া প্রস্তাবগুলির অন্যতম কয়েকটি ছিল—
১. যুদ্ধশেষে ভারতকে একটি ‘ডোমিনিয়ন’-এর মর্যাদা দেওয়া হবে।
২. যুদ্ধশেষে ভারতীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত গণপরিষদ নতুন সংবিধান রচনা করবে।
৩. ওই সংবিধান কোনো প্রদেশ বা দেশীয় রাজ্যের পছন্দ না হলে তারা নিজেদের সংবিধান রচনা করবে।
৪. সংবিধান রচনা না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ওপর ব্রিটিশের পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে এবং ভারতীয় সম্পদকে যুদ্ধের কাজে ব্রিটিশ ব্যবহার করবে।
গুরুত্ব:
ক্রিপস মিশন ছিল আসলে ভারতবাসীর প্রতি ব্রিটিশের একটি প্রতারণা। ভারতের অর্থ ও মানবসম্পদকে ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে চেয়েছিল। এই প্রস্তাবগুলিতে ভারতবাসীকে প্রকৃতপক্ষে কিছুই দেওয়া হয়নি।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।