টীকা: চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ | Fourth Anglo-Mysore War
পটভূমি:
শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি-র অপমানজনক শর্ত মেনে নেওয়া টিপু সুলতানের পক্ষে সম্ভব ছিল না, তাই ইংরেজকে চূড়ান্ত আঘাত দেবার জন্য তিনি প্রস্তুতি শুরু করেন।
১. টিপু সুলতান তাঁর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ফ্রান্সের বিপ্লবী জ্যাকোবিন ক্লাবের সদস্য হন এবং ফরাসি বিপ্লবের স্মারক হিসেবে শ্রীরঙ্গপত্তমে স্বাধীনতা বৃক্ষ (Liberty Tree) রোপণ।
২. কাবুল, কনস্ট্যান্টিনোপল, আরব, মরিশাস প্রভৃতি দেশে সাহায্য চেয়ে তিনি দূত পাঠান। টিপুকে সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য একদল ফরাসি স্বেচ্ছাসেবক মহীশূরে উপস্থিত হন।
৩. ঘোর সাম্রাজ্যবাদী লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮-১৮০৫ খ্রি.) টিপুকে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণের প্রস্তাব পাঠালেও স্বাধীনচেতা টিপু এহেন অপমানকর প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
যুদ্ধের সূচনা:
ওয়েলেসলি নিজামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহীশূর রাজ্য আক্রমণ করলে শুরু হয় চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৯৯ খ্রি.)।
ফলাফল:
সদাশির ও মলভেরীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর টিপু শ্রীরঙ্গপত্তম রক্ষার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেও শেষপর্যন্ত পরাজিত ও নিহত হন (৪ মে, ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ)। টিপুর পতনের ফলে ইংরেজদের সাম্রাজ্যবিস্তারের পথে একটি প্রধান বাধা দূর হয়। টিপুর রাজ্য ইংরেজ, মারাঠা ও নিজামের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, আর-একটি ক্ষুদ্র অংশে মহীশূরের পূর্বতন রাজবংশের এক প্রতিনিধিকে ইংরেজদের অধীনে বসানো হয়। ফরাসিরা ভারতে তাদের শেষ নির্ভরযোগ্য মিত্রকে হারায়।
তথ্য সূত্র:
মাধ্যমিক ইতিহাস শিক্ষক- জি.কে. পাহাড়ী।