ভূমিকা:
ওয়াভেল পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা তিন সদস্যের এক মিশন ভারতে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রী মিশন (১৯৪৬ খ্রি.) বা ক্যাবিনেট মিশনের তিন সদস্য ছিলেন ভারত-সচিব লর্ড পেথিক লরেন্স, বাণিজ্য-সচিব স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস এবং নৌ-সচিব মি. এ. ভি. আলেকজান্ডার।
মন্ত্রী মিশনের উদ্দেশ্য:
মন্ত্রী মিশনের তিনটি উদ্দেশ্য ছিল—
১. ভারতের সংবিধান রচনার জন্য ভবিষ্যতে যে গণপরিষদ তৈরি হবে তার গঠনপদ্ধতি, নীতি ঠিক করা।
২. সংবিধান রচনার আগে পর্যন্ত একটি জনপ্রতিনিধি ভিত্তিক সরকার গঠন করা।
৩. কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের মোট সদস্যের তিনভাগের একভাগ মুসলিম সদস্য মনোনয়ন করা।
উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব:
১. ভারতে একটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হবে।
২. কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।
৩. প্রদেশগুলিকে তিনভাগে ভাগ করা হবে, যথা— হিন্দুপ্রধান, মুসলিমপ্রধান ও একটি পৃথক বিভাগ বাংলা ও অসম।
৪. যতদিন না নতুন সংবিধান তৈরি হচ্ছে, ততদিন ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
গুরুত্ব:
১. এই প্রথম দেশীয় রাজ্যের জনগণকে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়।
২. সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদকেই সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়।
৩. গণপরিষদে কোনো অভারতীয় সদস্য গ্রহণের প্রস্তাব না থাকায় ভারতবাসী সন্তুষ্ট হয়।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।