সান ইয়াৎ সেনের তিনটি নীতি ও ভূমিকা


 
সান ইয়াৎ সেনের তিনটি নীতি ও ভূমিকা 


প্রথম জীবন:

চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেও সান-ইয়াৎ সেন চিনের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। প্রথম জীবনে তিনি ‘মিন পাও’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। এ সময়ে তিনি ‘ট্রিয়ার্ড’ নামক এক গুপ্ত বিপ্লবী সমিতির সংস্পর্শে আসেন। এ ছাড়াও তিনি ‘টুং-মেং-হুই’ নামক এক চিনা পুনর্গঠন সমিতি গড়ে তোলেন।


 সান ইয়াৎ সেনের তিনটি নীতি:

চিনের বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলির মধ্যেকার কর্মসূচিগুলিকে একজোট করার লক্ষ্যে ডা. সান তিনটি নীতি (সাং-মিন-চু-আই) ঘোষণা করেন। এই তিনটি নীতি ছিল-

 ১. জনগণের জাতীয়তাবাদ, ২. জনগণের অধিকার বা গণতন্ত্র, ৩. জনগণের জীবিকা বা সমাজতন্ত্র।


সম্মিলিত সংঘ গঠন: 

জাপানে থাকাকালীন ডা. সেন প্রবাসী চিনাদের নিয়ে গঠন করেন সম্মিলিত সংঘ ‘টুং-মেং-হুই’ (১৯০৫ খ্রি.)।


প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা: 

চিনের বিধবা সম্রাজ্ঞী জু-সি মারা গেলে মাঞ্জু বংশীয় এক নাবালক চিনের সম্রাট হন। ডা. সেন একসঙ্গে মাঞ্জু বংশ-বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে নানকিং দখল করেন এবং গঠন করেন অস্থায়ী প্রজাতান্ত্রিক সরকার (১৯১১ খ্রি.)। ডা. সেন হন এই সরকারের রাষ্ট্রপতি।


জাতীয়তাবাদী দল গঠন:

ডা. সেন চিনে অন্যান্য দলগুলিকে মিলিত করে প্রতিষ্ঠা করেন কুয়োমিনটাং (১৯১২ খ্রি.) নামক একটি জাতীয়তাবাদী দল। চিনে মাঞ্জু সরকারের অবসান ঘটলেও পিকিং-এ অস্থায়ী প্রজাতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পিকিং ও নানকিংকে কেন্দ্র করে দুটি পৃথক সরকার চিন শাসন করতে থাকে। এই সমস্যার অবসানে ডা. সেন সোভিয়েতের সাহায্য চান।


সোভিয়েত সাহায্যে লক্ষ্যপূরণ: 

মাঞ্চু শাসনের অবসানের লক্ষ্যে সোভিয়েত সাহায্য নিয়ে ডা. সেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদীরা পুনরায় নানকিং-এর দখল নেয়। ডা. সেন মাঞ্জু সেনাপতি ইউয়ান-শি-কাইকে রাষ্ট্রপতির পদ দিতে চাইলে ইউয়ান মাঞ্জু সরকারের পতন ঘটান। এভাবে ডা. সেন চিনকে মাঞ্জু অপশাসন থেকে মুক্ত করেন ও প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবকে জয়যুক্ত করেন।


তথ্য সূত্র:

ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।


1 মন্তব্যসমূহ

  1. স্যার ইতিহাস রে বড়ো প্রশ্ন এবং ছোট প্রশ্ন চাই স্যার একটু দয়া করে দিবেন খুব দরকার

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন

World News

نموذج الاتصال

×