টীকা লেখো: হুতোম প্যাঁচার নকশা।
ভূমিকা:
হুতোম প্যাঁচার নকশা নামক ব্যঙ্গবিদ্রুপ মূলক রচনা থেকে উনিশ শতকে বাংলার সামাজিক জীবনের বহু চিত্র ফুটে ওঠে। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ।
হুতোম প্যাঁচার নকশার ভূমিকা:
১. সামাজিক চিত্র:
ব্রিটিশ আমলে বাংলায় বিভিন্ন সমাজিক উৎসব প্রচলিত ছিল। যার চিত্র হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে ফুটে উঠেছে। এই সময় বাংলায় যেসব উৎসব প্রচলিত ছিল চড়ক পার্বণ, দুর্গোৎসব, রামলীলা প্রভৃতি।
২. বাবু সমাজের সমালোচনা:
হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে তৎকালীন কলকাতার বাবু সমাজের সমালোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ সেই সময়কার বাবু অর্থাৎ জমিদারদের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও মানসিকতা ফুটে উঠেছে।
৩. কৌতুক রস:
হুতোম প্যাঁচার নকশায় সামাজিক শৈথিল্য, চরিত্র ও অন্ধকারময় দিকগুলি ব্যাঙ্গাতকভাবে ফুটে উঠেছে। যেগুলো তৎকালীন জনমানসে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছিল।
মূল্যায়ন:
সুতরাং হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি ছিল ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থটিতে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন ও বাবু সমাজের ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র যেভাবে ফুটে উঠেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।