ভূমিকা:
১৮৬৩ সালে বামাবোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে 'বামাবোধিনী' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন উমেশচন্দ্র দত্ত। নারী সমাজের কল্যাণে এই বামাবোধিনী পত্রিকা বিশেষ অবদান রাখে।
নারী সমাজের উন্নতিতে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকা/অবদান
১. নারীপ্রগতি:
বামাবোধিনী পত্রিকাতে নারী সমাজের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন নিত্যনতুন সংবাদ প্রকাশিত হতো। তৎকালীন নারীদের অবস্থান, সামাজিক মর্যাদা ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ এই পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত করত।
২. সমস্যার সমাধান:
নারীসমাজের একাধিক সমস্যা দূরীকরণে বামাবোধিনী পত্রিকা বিশেষ অবদান রেখেছিল। একজন নারীকে আদর্শ মা হিসেবে গড়ে তুলতে এই পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর পরিবেশন করত।
৩. কুপ্রথার দূরীকরণ:
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার যেমন- সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল বামাবোধিনী পত্রিকা। যার ফলে সমাজের শিক্ষিত মানুষরা কাছে এই সকল কুসংস্কার সম্পর্কে অবগত হয়েছিল।
৪. বিজ্ঞান চিন্তার প্রসার:
বামাবোধিনী পত্রিকা নারীদের বৈজ্ঞানিক চিন্তনকে প্রসারিত করতে সাহায্য করেছিল। রামমোহন রায় থেকে শুরু করে বিদ্যাসাগর প্রমুখ ও উচ্চপন্ডিত্যদের চিন্তাধারা এই পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হতো।