ভূমিকা:
সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের এক উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পর ভারতবর্ষে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ও গোপনে অনেকগুলি বিপ্লবী সমিতি গড়ে উঠেছিল। এ সমস্ত বিপ্লবী সংগঠনের মাধ্যমে ছাত্র সমাজ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা
১. বিপ্লবী সংগঠন:
প্রাক্ স্বাধীনতার পূর্বে বাংলা ছিল বিপ্লবী আন্দোলনের মূল কেন্দ্রভূমি। এই সময় বাংলায় অনেকগুলি বিপ্লবী সমিতি তথা সংগঠন গড়ে উঠেছিল। যে গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর গোষ্ঠী, ব্রতিসংঘ, সাধনা সমিতি প্রভৃতি। এ সমস্ত সংগঠন ছাত্রদের বিপ্লবী আন্দোলনে অংশগ্রহণের বিশেষভাবে সহায়তা করেছিল।
২. বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মামলা:
সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণে ভীত হয়ে ব্রিটিশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার রুজু করেছিল। যেমন- আলিপুর বোমা মামলা (১৯০৮) ,লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা (১৯১৫), কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৫) প্রভৃতি।
৩. রশিদ আলী দিবস:
আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম ক্যাপ্টেন রশিদ আলীকে বিচারের ব্রিটিশ সরকার সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করলে তার মধ্যে কলকাতার ছাত্র সমাজ গর্জে ওঠে। তারা ১৯৪৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ধর্মের ডাক দেন। এই ধর্মটে বহু ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
মূল্যায়ন:
সুতরাং সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা কোনক্রমেই ভোলার নয়। ছাত্র সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের ভীত নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং থেকে শুরু করে আরো অনেক ছাত্ররা রয়েছেন যারা নিজেদের আত্ম বলিদান দিয়েছেন। যে কারণে আজও তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
তথ্য সূত্র-
1. মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়িকা (ড. পাহাড়ী)।
Tallent Booster
2. ইতিহাস ও পাসওয়ার্ড (কে এম সরিফুজ্জামান)।
৫. বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের অবদান- Click Here