মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় 'জীব জগতের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয়' এর চলন ও গমনের প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik Life Science All Question Suggestion 2023
Madhyamik Life Science Notes | WB Madhyamik Life Science Suggestion
Class 10 Life Science Suggestion: এই ব্লগে আমরা প্রথম 'জীব জগতের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয়' এর চলন ও গমনের থেকে যে সমস্ত বড় প্রশ্ন ও 2 নম্বরের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে সেগুলি নীচে দেওয়া রইলো
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা তোমাদের এখন বিভিন্ন অধ্যায়ভিত্তিক সাজেশন দেওয়া হচ্ছে। এগুলি ভালো করে প্রাকটিস করবে। তোমাদের পরীক্ষার আগে ফাইনাল সাজেশনও আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হবে।
প্রথম অধ্যায়
'জীব জগতের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয়'
চলন ও গমন
এই অধ্যায় থেকে যেসব 2 নম্বরের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে সেগুলি নীচে দেওয়া রইলো।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন:
1. সংবেদনশীলতা কাকে বলে?
বিভিন্ন বাহ্যিক উদ্দীপক যথা- আল, তাপ, জল, স্পর্শ ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক, যথা- ক্ষুধা, তৃষ্ণা, বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাকেই বলে সংবেদনশীলতা।
2. চলন ও গমন কি?
যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ স্পষ্ট ভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের কোন অংশ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে। যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
3. চলন ও গমনের মধ্যে পার্থক্য:
চলনে জীবের স্থান পরিবর্তন হয়না গমনে জীবের স্থান পরিবর্তন হয়, চলন সাধারণত উদ্দীপকের প্রভাবে হয় গমন স্বেচ্ছায় হয়
4. চলন গমনের উদ্দেশ্য লেখ:
খাদ্যনেশন, অনুকূল পরিবেশের সন্ধান, প্রজনন পদ্ধতি
5. কোষের প্রোটোপ্লাজম এ কি ধরনের চলন হয়?
দুই ধরনের চলন দেখা যায় যথা রোটেশন বা প্রবাহগতি, সার্কুলেশন বা অবর্তগতি
6. প্রকরণ চলন কাকে বলে?
বনচাঁড়াল উদ্ভিদের পরিণত কোষের রসস্ফীতি হাস বৃদ্ধির ফলে বনচাঁড়াল উদ্ভিদের পত্রফলক দুটি পর্যায়ক্রমিকভাবে ওঠানামা করে একে প্রকরণ চলন বলে।
7. ব্যাপ্তি বা ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয় তখন তাকে ব্যাক্তি বা ন্যাস্টিক চলন বলে।
8. আবিষ্ট বা ট্যাকটিক চলন কাকে?
বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন কে আবিষ্ট বা ট্যাকটিক চলন বলে।
9. রোটেশন কাকে বলে?
পরিণত উদ্ভিদ কোষের কোষ গহ্বর কে কেন্দ্র করে প্রোটোপ্লাজম একমুখী গতিকে রোটেশন বলে।
10. মাছের গমনে মায়োটোম পেশীর ভূমিকা কি?
মায়োটোম পেশি V আকৃতির পেশি যা মেরুদন্ডের দুই পাশে অবস্থিত। এই পেশির সংকোচন প্রসারণ এর ফলে মাছের মেরুদন্ড পর্যায়ক্রমে দুপাশে আন্দোলিত হয় ফলে মাছ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে.
11. মাছের গমনে পটকার ভূমিকা লেখ:
মাছের পটকা মাছ কে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে পটকার অগ্র প্রকোষ্ঠে অবস্থিত রেড গ্রন্থি গ্যাস সৃষ্টি করে ফলে অগ্র প্রকাশিত হয় তখন মাছ জলে ভাসতে পারে। আবার গ্যাস অগ্র প্রকোষ্ঠ থেকে পশ্চাদ প্রকোষ্ঠে যখন চলে আসে । তখন পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠের মিরিবিলিয়া নামক রক্তজালক গ্যাস শোষিত হয় তখন পটকা চুপসে যায় ফলে মাছ জলে ডুবে যায়।
12. ফটো ট্যাকটিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদের সমগ্র দেহ যখন আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় তখন তাকে ফটো ট্যাকটিক চলন বলে যেমন ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক উদ্ভিদের চলন।
13. মাছের গমনে পাখনার ভূমিকা:
পাখনা মাছের প্রধান গমন অঙ্গ। মাছের দেহের অস্থি যুক্ত জোড় সংখ্যায় এবং বিজোড় সংখ্যক পাখনা থাকে। পাখনা গুলো রশ্মি বিশিষ্ট হওয়ায় জলের চাপ ছিঁড়ে যায় না। পাখনা গুলো মাছের চলন গমন, দিক পরিবর্তন করতে এবং জলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
14. এডাকশন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ কে দেহাক্ষের নিকটবর্তী হতে সহায়তা করে, তাকে এডাকশন বলে। যেমন- ল্যাটিসীমাস ডরসি হাতকে দেহের নিকটবর্তী হতে সাহায্য করে।
15. এবডাকশন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহাক্ষের থেকে দূরে সরে যায়, তাকে এডাকশন বলা হয়। যেমন- ডেলটয়েড পেশী হাতকে দেহাক্ষের থেকে সরে যেতে সাহায্য করে।
16. বল ও সকেট সন্ধি কাকে বলে?
যে অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার অংশ আরেকটি অস্থির সকেট এর সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে বল সকেট সন্ধি বলে। যেমন স্কন্ধ সন্ধির বা সোল্ডার জয়েন, কোমরের অস্থিসন্ধি
17. পায়রার উড্ডয়ন পেশির ভূমিকা:
পায়রার পক্ষে মজবুত উড্ডয়ন পেশী থাকে। এই পেশী গুলি হল পেক্টরালিসিস মেজর, পেক্টরালিসিস মাইনর এবং কোরাকো ক্রাকিয়ালিস। এই পেশীগুলোর উড্ডয়নকালে ডানা গুলিকে বহুক্ষণ পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করতে সাহায্য করে।
18. সিসমোন্যাস্টিক চলন কি?
স্পর্শজনিত বা আঘাত জনিত কারণে উদ্ভিদ দেহে যে সামগ্রিক বক্র চলন দেখা যায় তাকেই সিসমোন্যাস্টিক বা স্পর্শকজনিত চলন বলে। যেমন লজ্জাবতী গাছের পাতা।