মধু খাওয়ার উপকারিতা | Benefits of eating Honey in bengali
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে মৌমাছি এই মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করে। কোনো প্রিজারভেটিভস উপাদান প্রয়োগ না করেই মধু দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। মধু অত্যন্ত ঘন খাবার হওয়ায় জীবাণু প্রবেশ করলেও বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। মধুতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম থাকে। যেগুলি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আজকাল বহু মানুষ চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যাবহার করেন। তাহলে আসুন জেনে নিই নিয়মিত মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতিদিন মধু খাওয়ার উপকারিতা
১. হজমশক্তি বৃদ্ধি-
মধুতে উপস্থিত শর্করা সহজেই মানুষের হজম পরিপাকে সাহায্য করে। মধুতে উপস্থিত ডেক্সট্রিন সরাসরি রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিক ক্রিয়া করে। তাই রোগা মানুষদের জন্য মধু খুবই উপকারি।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে-
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা ডায়েরিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে।
৩. রক্তশূন্যতা দূর করে-
রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করে মধু। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক উপাদান। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন নিয়মিত মধু খেলে উপকার মিলবে।
৪. ত্বক সুন্দর রাখে-
সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য মধুর ভূমিকা অপরিসীম। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের ভাঁজ পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। তাই তারুণ্য বজায় রাখার জন্য দৈনিক খাদ্য তালিকায় মধু অবশ্যই রাখুন।
৫. হাঁপানি দূর করে-
দৈনিক গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে মধু এবং কিছু পরিমাণ আদা মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি খেলে হাঁপানি রোগ দূর হবে।
৬. হৃদরোগ দূর করে-
হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী রোগ দূরীকরণে মধুর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। কয়েক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে দুই-তিন চামচ মধু মিশিয়ে খেলে হৃদরোগের সমস্যা দূর হবে।
৭. হাড় মজবুত করে-
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা দেহের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া মধুতে থাকা ক্যালসিয়াম চুল ও দাঁতের গোড়া মজবুত করতেও সাহায্য করে।
৮. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-
যে সমস্ত ব্যাক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা মধুর সঙ্গে রসুনের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। দৈনিক দুই থেকে তিনবার এই মিশ্রণটি খেতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর হবে।